জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যা অভিযোগে ১৪৪টি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও সরকার ঘনিষ্ঠ মোট ৩৪ জনকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে সাবেক পাঁচ মন্ত্রীসহ আটজনের ৪১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যদিয়ে তাঁদের আদালতে আনা হয়। এরপর একে একে তোলা হয় আদালতে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান ও মো. ইমরান আহম্মেদের পৃথক দুটি আদালত শুনানি শেষে সাবেক পাঁচ মন্ত্রীসহ আটজনের ৪১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত রয়েছেন।
রাজধানীর পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে হাইকোর্টের জাল ভোটের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় পাঁচদিন ও বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে ধানমন্ডি থানার মামলায় তিনদিন ও বংশাল থানার মামলায় চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাধন চন্দ্রের তিনদিন ও যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় শাজাহান খানের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া নিউমার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল, চকবাজার থানার মামলায় হাজী সেলিম, ধানমন্ডির থানার হত্যা মামলায় ইনু ও চকবাজার থানার মামলায় তানভীরের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক ডিবি ডিসি মশিউর রহমানকেও।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
ভিডিও :
youtube.com/watch?v=aTZpbgIMvIo